মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান সতর্ক থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো দেশের সঙ্গেই সীমান্ত এলাকায় সবসময় নিরাপত্তা জোরদার থাকে। এ বিষয়েও তাই ঘটেছে। আমাদের সদস্যরা সবসময় দায়িত্ব পালন করে। বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।’
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নিপীড়নে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমায়। এসব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের দেন-দরবার চলছে।
এর মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘটনায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার সিমান্ত দিয়ে ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালান প্রতিরোধেও কাজ করছে বিজিবি।
এর আগে, ভোরে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। মিয়ানমার সেনারা অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করা হয়।
সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, আগামী এক বছরের জন্য দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইং দেশ পরিচালনা করবেন।
Leave a Reply