আচ্ছা ঠিক আছে কবি
বুঝলাম আপনার সবই
লিখেছেন অনেক কিছু,
তাতে আমাদের আয়
বেড়েছে কি মাথাপিছু?
আমাদের বাড়ির জুলেখা
হস্তাক্ষর সুন্দর সুলেখা
ওর চুলে আপনি দেখেছেন
অমাবস্যার অন্ধকার,
বিপরীতে দেখেন মুখ তার
আলোকিত চাঁদের আকার,
তাতেকি আমাদের কারো
উপকার হয়েছে কোন প্রকার?
আপনি ওর চোখে দেখেছেন
গভীর নীল সমুদ্র–
যেখানে ডুবেছে আপনি সহ
মানষেরা বড় মাঝারি ক্ষুদ্র,
আমরাতো পড়ে আছি তীরে
অনাহার দুশ্চিন্তায় বিনিদ্র!
আপনি দেখেন বলাকা ওড়ে
পাখিরা কতযে গান গায়,
মনটা কোথায় যেনো হারায়–
জুলেখা গুনগুন করে নিরালায়,
তাতে আমাদের কী এসে যায়?
জুলেখাকে আপনি ভাবেন শিরি
নিজেকে মনে হয় যেনো ফরহাদ,
প্রয়োজনে আপনাকে পাইনা
আমরাতো এইদিকে বরবাদ!
নিজেকে যখন মজনু ভাবেন
ওকে ভাবেন লাইলী,
কখনোকি জানতে চেয়েছেন
“তোরা কি কিছু খাইলি?”
যখন ভাবেন আপনি ইউসুফ
ওরে ভাবেন আসল জুলেখা,
এর মধ্যে কি কোন ভাবেই
আমাদের ভাগ্য যায় দেখা?
আপনি ব্যস্ত থাকেন সদা
চিন্তা শুধু ফুল পাখি আর নারী,
আপনার জগতে কি আমরা
কোনভাবে থাকতে পারি?
আপনি নিজেকে ভাবেন আদম
খুঁজে ফেরেন শুধু হাওয়াকে,
এর মধ্যে দেখেন কি কভু
তিনি সে এবং আমাকে?
আপনি যদি সত্যিই থাকেন
মিলেমিশে হাসিখুশী চিত্তে,
প্রেমতো আসবেই ছুটে
পরিবারের ধরাবাঁধা বৃত্তে।
বাস্তবে তা বুঝতে গেলেতো
আপনি হয়ে যাবেন বৃদ্ধ,
কখন পাবো আপনার সেবা
যা নিয়ে হবো সমৃদ্ধ?
তাই বলি কবি মনযোগ দিয়ে
শুনুন আমাদের কথা,
সমাজের সাথে মিশে থাকুন
রচনা করুন জীবন গাঁথা,
এরই মধ্যে জুলেখা হবে
পরিনত এবং বুদ্ধিমতি,
মেধা এবং আবেগ মিশিয়ে
আপনি হবেন ওরই পতি,
এটাই বাস্তব এটাই সত্য
আর সব কিছু শুধুই মায়া,
জীবনতো এক কঠিন বিষয়
কল্পনা হলো শুধু তার ছায়া।
জীবন-সত্য নেবো মেনে
কল্পনার পিছে ছুটবোনা,
সবার সাথে আছিই আছি
বিচ্ছিন্ন হয়ে টুটবোনা।
Leave a Reply